SATT ACADEMY

New to Satt Academy? Create an account


or

Log in with Google Account

উদ্দীপকটি পড়ে  প্রশ্নের উত্তর দাও :
সে বিস্ময়াবহ কাহিনি শুনিয়া নৃপতি মুগ্ধ হইলেন । বহুদিনের বিদ্বেষভাব দূরে গেল, ভক্তিতে অন্তর আর্দ্র হইল। প্রেমের জয় হইল । নৃপতির কণ্ঠে হাতেমের জয়গান। তাঁহার কণ্ঠ ভেদিয়া উত্থিত হইল— ধন্য হাতেম, ধন্য তাহার কুল !

নৃপতির মাধ্যমে ‘প্রত্যুপকার' গল্পের খলিফার কোন বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পেয়েছে?

Created: 1 year ago | Updated: 3 months ago
HELP US TO FIND OUT THE RIGHT ANSWER.
VOTE STATISTICS
OPTION 1 : 0
OPTION 2 : 0
OPTION 3 : 0
OPTION 4 : 5

‘প্রত্যুপকার' রচনাটি আখ্যানমঞ্জরী দ্বিতীয় ভাগ থেকে সংকলন করা হয়েছে। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের আখ্যানমঞ্জরী রচিত হয় ১৮৬৮ খ্রিষ্টাব্দে । বিশ্বের নানা দেশের ইতিহাস প্রসিদ্ধ ব্যক্তিগণের জীবনের গৌরবদীপ্ত ঘটনাই এ গ্রন্থের বিভিন্ন রচনার উপজীব্য। ‘প্রত্যুপকার’ আলী আব্বাস নামক এক ব্যক্তির প্রতি-উপকারের কাহিনি। খলিফা মামুনের সময়কালে দামেস্কের জনৈক শাসনকর্তা পদচ্যুত হন । নতুন শাসনকর্তা মামুনের একজন প্রিয়পাত্র ছিলেন আলী ইবনে আব্বাস । তিনি স্থানীয় একজন সম্ভ্রান্ত ব্যক্তির কাছে আশ্রয়লাভ করে জীবন রক্ষা করেন। পরবর্তীকালে আলী ইবনে আব্বাসের আশ্রয়দাতা ঐ সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিটি খলিফা মামুনের সৈন্যদল কর্তৃক বন্দি হন এবং খলিফার নির্দেশে আলী ইবনে আব্বাসের গৃহে তাকে অন্তরীণ করে রাখার ব্যবস্থা করা হয়। আলী ইবনে আব্বাস বন্দি ব্যক্তির সঠিক পরিচয় জানতে পেরে উপকারীর উপকারের জন্য নিজের জীবনের ঝুঁকি গ্রহণ করেন এবং খলিফার কাছে তার মুক্তির জন্য সুপারিশ করেন। বস্তুত এ রচনায় দুজন মহৎ ব্যক্তির কাহিনি বর্ণিত হয়েছে, তাদের একজন নিঃস্বার্থ উপকারী, অন্যজন সকৃতজ্ঞ প্রত্যুপকারী। খলিফার মহত্ত্বও এ রচনায় প্রকাশিত হয়েছে।

Content added By

Related Question

View More